থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর জরিমানা

Spread the love

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধির প্রথম কাজ হলো মাস্ক পরিধান করা। অনেক দেশে সেই নিয়ম না মানলে আছে জরিমানার বিধানও। কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিয়ম ভেঙে জরিমানা গুনেছেন। তিনি এখন উল্টো বিধিনিষেধ জারি নিয়ে তদন্ত করতে বলেছেন।

থাইল্যান্ডে ঘটেছে এ ঘটনা। আর দণ্ডিত ব্যক্তি হলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা। তাঁকে ৬ হাজার বাথ (১৯০ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ফেসবুক পেজে একটি ছবিতে তাঁকে বৈঠক করতে দেখা যায়। কিন্তু তখন তাঁর মুখে মাস্ক ছিল না। পরে অবশ্য ছবিটি সরিয়ে নেওয়া হয়।

ব্যাংককের গভর্নর অশ্বিন কাওয়ানমুয়াং তাঁর সরকারি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পেজে লিখেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি, এটি নিয়মের লঙ্ঘন।’

প্রায়ুথ এ ঘটনায় ব্যাংকক মেট্রোপলিটন ডমিনিস্ট্রেশনের আরোপিত বিধিনিষেধের বিষয়ে তদন্ত করতে বলেছেন। অশ্বিন বলেন, কারণ সিটি হল (ব্যাংকক মেট্রোপলিটন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান দপ্তর) নিয়ম করেছে বাড়ির বাইরে গেলে সব সময় মাস্ক পরতে হবে। আর সে্ই নিয়ম মেনেই তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) জরিমানা হয়েছে।

বিশ্বে অন্যান্য দেশের তুলনায় থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিকে ভালোই বলা যায়। করোনার সংক্রমণের পরিসংখ্যান নিয়মিত হালনাগাদকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যমতে, আজ সোমবার রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত দেশটিতে ৫৭ হাজার ৫০৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১৪৮ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩১ হাজার ৫৯৩ জন।

থাইল্যান্ডের মোট জনসংখ্যা ৬ কোটি ৬১ লাখ। তারপরও দেশটির সরকার সতর্কতা হিসেবে রাজধানী ব্যাংককের পার্ক, ব্যায়ামাগার, সিনেমা হল ও ডে-কেয়ার সেন্টার আজ ২৬ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক ব্যবহার না করলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার বাথ বা ৬৩৫ মার্কিন ডলার জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

নয়াদিল্লিতে থাকা থাই দূতাবাস জানিয়েছে, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত থাইল্যান্ডের বাইরের কোনো নাগরিক ভারত থেকে দেশটিতে ঢুকতে পারবে না।