গাজীপুর ধর্ষনের পর হত্যা মামলার দুই আসামিকে নিরপরাধ দাবি করলেন পরিবার

Spread the love

গাজীপুর প্রতিনিধি:
উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছিল মেধাবী ছাত্র রুবেল হোসেন। করোনা মহামারীতে পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হতে থাকায় সিকিউরিটি গার্ড পদে চাকরি নেন গাজীপুরে ইউনিলিভার কারখানায়। এরই মধ্যে গত ২৪ এপ্রিল রাতে পুলিশ রুবেলকে কারখানা থেকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তবে এ হত্যা মামলার সাথে রুবেল কোন ভাবেই জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন রুবেলের পিতা মোঃ ওসমান গনি এছাড়া একই মামলায় গ্রেফতার হওয়া তার খাইরুলের পিতা কামাল আহমেদও একই দাবি করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর শহরের একটি পত্রিকা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন। লিখিত বক্তব্যে রুবেলের পিতা সাংবাদিকদের বলেন, এক বছর আগে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার পানজোরা এলাকায় একটি প্রতিবন্দ্বী নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ নারীকে খুন করা হয়েছে বলে ময়না তদন্তে রিপোর্ট আসে। ওই খুনের ঘটনাটি গাজীপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই মোঃ মোশারফ হোসেন এ খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুবেলকে আটক করেন। তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। একই ঘটনায় রুবেলের সহযোগী হিসেবে একই কারখানার শ্রমিক খাইরুলকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। উভয়ের পিতা তাদের সন্তানকে নিরপরাধ দাবি করে তাদের এ মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে মুক্তি দাবি করেন সংবাদ সম্মেলনে।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্যমে দীর্ঘ তদন্তের পর আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার আসামি মোঃ রুবেল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অপর আসামি খাইরুলকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ জুন সকাল ৭টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার পানজোরা এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন তাহমিনা (২৫) বাসা হতে বের হয়ে নিখেঁাজ হয়। এর দুই দিন পর ২৫ জুন উপজেলার নগরবেলা এলাকার বাহুরঘাটে বালু নদী হতে একজন অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে নিহতের বড় বোন মোসাঃ জাহানারা উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পে এসে লাশটি তার বোন তাহমিনার বলে সনাক্ত করেন। এ ঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্তে রিপোর্টে ভিকটিম তাহমিনাকে জোরপূর্বক ধর্ষনের পর পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।