সুচিত্রা রায় : আজ ২২ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ জনাব ইজ্জত উল্লাহ'র নেতৃত্বে ঢাকা উত্তরের আশুলিয়া থানায় কোটা বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে ৬ শহীদ পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের শোক সন্তুপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং এই শহীদি মৃত্যু যাতে বৃথা না যায় সে জন্য রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। যে সমস্ত শহীদদের বাড়িতে যাওয়া হয়েছে তারা হলেন যথাক্রমে, শহীদ মো: লেবু, শহীদ নাজমুল হাসান. শহীদ হাফেজ খোকনম, শহীদ আশরাফুল ইসলাম, শীহদ সাব্বির ইসলাম ও শহীদ রাসেল গাজী।

উক্ত অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা উত্তর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ আফজাল হোসেন, আশুলিয়া থানা আমীর অধ্যাপক বশীর আহমেদ, আশুলিয়া থানা সেক্রেটারি সহ ঢাকা জেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। 



জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ জনাব ইজ্জত উল্লাহ বলেন, এই কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষ এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের ত্যাগের কথা জাতি কখনো ভুলবে না। যে স্বৈরাচারী জালিম হাসিনা জগদ্দল পাথরের মত জাতির উপর চেপে বসেছিল এ দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন্য আপামর সর্বস্তরের মানুষ জেগে ওঠেছিল। কোটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা রাহুগ্রাস মুক্তি হয়েছি। তাই এই আন্দোলনে  যারাই নিহত বা আহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেক পরিবারের সাথে সুখে দুখে আমরা সব সময়-ই পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।

 তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিটি শহীদ এবং আহত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে সবাই এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন ইহা যাতে করে কোনো ব্যক্তিই এই আন্দোলনের ইতিহাস থেকে হারিয়ে না যায় সে জন্য প্রতিটি শহীদী আহত পরিবারের নাম ঠিকানা সংরক্ষণ করা হবে এবং তাদের উপযুক্ত সম্মান প্রদান করা হবে ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এই সমস্ত শহীদি পরিবারের সাথে আজীবন পাশে থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা উত্তর জেলা আমীর বল আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় ৫ আগস্টে সরকারী ও আওয়ামী গুন্ডা বাহিনী এবং পেটুয়া বাহিনী দিয়ে যে নারকাীয় হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল তার বর্ণনা দিয়ে ঢাকা জেলা উত্তর আমির বলেন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, ঘরের মধ্যেও মানুষ নিরাপদ ছিল না। ফলে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেনীর মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। আমরা সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলন যাতে কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

 অনুষ্ঠানে আশুলিয়া থানা আমীর অধ্যক্ষ বশীর আহমেদ বলেন, জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত জালিম সরকারের নির্দেশ যে হত্যা আশুলিয়া হয়েছিল তার তিনি প্রত্যক্ষ এবং পরক্ষ ভাবে ছিলেন সেদিন যা ঘটেছে তা কখনো ভুলার মত নয়। 

উক্ত অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলার উত্তরের নেতৃবৃন্দসহ এবং আশুলিয়া থানার জামায়াতের সকল স্তরের কর্মী এবং সাধারণ মানুষে ও উপস্থিত ছিলেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত  এবং আহত সকলের সুস্থতা কামনায় সুস্থতা কামনায় দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। দোয়া করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জনাব অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ।