কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লায় আলুর ব্যাপক ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এই জেলার প্রায় সব উপজেলায় ব্যাপক পরিমানে আলুর চাষ করা হয়েছে। উন্নত জাতের আলু চাষ করে চাষিরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। বর্তমানে চাষিরা জমি থেকে আলু তোলার উৎসবে মেতে উঠেছে। চাষিরা বিঘাপ্রতি ২০-২৫ মণ আলুর ফলন পেয়েছেন। আর আলুর বর্তমান বাজারদর ভালো থাকায় বিক্রি করে লাভবান হতে পেরে খুশি চাষিরা।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে দাউদকান্দি, চান্দিনা, দেবিদ্বার, আদর্শ সদর, বুড়িচং, হোমনা, মেঘনা, তিতাস, মুরাদনগর, সদর দক্ষিণ, বরুড়ায় এবারে আলুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। এরমধ্যে দাউদকান্দিতে সবচেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। চাষীরা উন্নত জাতের ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, গ্র্যানোলা, মালটা, হীরা, অরিগো, কোস্টারিকা, পেট্রোনিজ, বেলেনী, এস্টারিক্স, সাগিতা ও রোজগোল্ড জাতের আলুর আবাদ করেছেন। কৃষকরা লাভের আশায় গত বছরের তুলনায় এবছর আরো বেশি জমিতে চাষ করেছেন। এখন ফলন ভালো পেয়েছেন। বাজারদর ভালো থাকলে লাভের আশা করছেন তারা।
কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, চলতি বছর এই জেলায় ১৫ হাজার ৯৩৪ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও কৃষকরা প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে ১২ জাতের আলুর আবাদ করেছেন। বেশি জমিতে চাষ হওয়ায় এবার ২৭ হাজার মেট্রিক টন বেশি আলুর উৎপাদন হয়েছে। এতে এবছর প্রায় ৪ লক্ষাধিক মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে। আলুর বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
আলু চাষিরা জানায়, গত বছর প্রথমে আলুর ভালো দাম পেয়েছেন। তবে মৌসুমের শেষের দিকে আলুর দাম কম থাকায় বেশি লাভ হয়নি। তাই এবছর বেশি জমিতে আগাম উন্নত জাতের আলুর চাষ করেছেন। এবছর আলুর অধিক পরিমানে ফলন পেয়েছেন। ফলন বেশি পাওয়ায় বাজারদার ভালো থাকলে দ্বিগুন লাভের আশা করছেন চাষিরা।
কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, কুমিল্লা জেলার মাটি আলু সহ সব ধরনের সবজি চাষের উপযোগী। এবছর লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক বেশি আলুর চাষ হয়েছে। আমরা কৃষকদের সার, কীটনাশক প্রয়োগে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। শুধু আলু নয়, সকল সবজি ও ফসল চাষিদের মাঠ পর্যায়ে যেয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি। আশা করছি কৃষকরা তাদের উৎপাদিত আলু বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন