গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চালে ডিলারের বিরুদ্ধে কার্ডধারী গরিব ব্যক্তিদের চাল না দেওয়া ও ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের নলুয়া, গাবচালা, রঘুনাথপুর ,শ্রীপুর, বোয়ালীসহ কয়েকটি গ্রামের গরীব অসহায় ব্যক্তিরা ১৫ টাকার দামের চাউল প্রায় ১০০টি পরিবার পাচ্ছেন না। জন প্রতি ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে কখনও ২৬ কেজি, আবার কখনও ২৭ কেজি (এক বালতি)। এ ছাড়াও নির্ধারিত সময়ে দোকান না খোলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ডিলারের বিরুদ্ধে।
এতে বঞ্চিত হচ্ছেন কার্ডধারী গরিবরা। এ নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এতে এলাকাবাসীর ক্ষুব্ধ হয়েছে ওই এলাকার নলুয়া বাজার ডিলার লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে। ডিলার লোকমান ডিজিটাল মিটারে চাল পরিমাপ না করে এক বালতি চাল বস্তায় ভরে দিয়েই বলছেন ৩০ কেজি চাল।
এ নিয়ে উপকারভোগীদের সাথে ঝগড়া লেগেই চলে দিনভর। বাড়াবাড়ি করলে বিভিন্নভাবে হুমকিও দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন কার্ডধারী অনেকেই।
কার্ডধারী মুক্তার হোসেন জানান, আমি কার্ড নিয়ে চাল আনতে গেলে ডিলার লোক মানুষের আমাকে চাল দেয়নি। বোয়ালী এলাকার অমৃত সরকার জানান, আমার নামে কার্ড আছে আমি এখন চাউল পাচ্ছিনা, চাল দোকানে থাকা অবস্থায় আমাদেরকে বলে চাল নেই।
নলুয়া বাজারের জাবেদ আলী জানান, চাল বিতরণের সময় মানুষের কাছে অনেক খারাপ আচরণ করেও গরীব মানুষকে হয়রানি করে ডিলার লোকমান হোসেন।
বোয়ালি ইউনিয়নের (৪ ৫ ৬)নং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার তাহমিনা আক্তার জানান, আমাদের এলাকার গরিব অসহায় মানুষদেরকে কার্ড দেওয়া হয়েছে কিন্তু সেই কার্ডধারী লোক চাল পাচ্ছে না। বিষয়টি ডিলার লোকমানের কাছে বললে সে আমার দিকে চড়াও হয়ে ওঠে এবং খারাপ আচরণ করে।
বোয়ালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন জানান, ওই ডিলারকে কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে যাতে সঠিকভাবে চাল বিতরণ করে। তারপরেও সে সংশোধন হচ্ছে না বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার ইমদাদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেছি এই বিষয়ে ওই ডিলারকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব না দিতে পারলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন