গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রঘুনাথপুর বিট অফিসের আওতায় সোনাতলা ক্যাম্পে গত এক বছরে বনের জমিতে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ওই ক্যাম্পে টাকা দিয়েই এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয় কয়েকজন দালাল ও ওই ক্যাম্পের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এলাকাবাসী ও বিট অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার রঘুনাথপুর বিট অফিসের আওতায় সোনাতলা ক্যাম্পের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। বছরখানেক আগেও ওই বিটের সাবেক কর্মকর্তা দীলিপ মজুমদার বনের জমিতে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা মৎস্য খামার সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ করে রাখে। কিন্তু তার বদলি হলে বছরখানেক আগে নুর মোহাম্মদ নামে এক বিট কর্মকর্তা সেখানে যোগদান করেন। এরপরই তিনিসহ তার স্টাফরা বেপরোয়া হয়ে উঠেন। ওই ক্যাম্পে টাকা নিয়ে তারা পূর্বের বন্ধ করা অবৈধ স্থাপনা ও মৎস্য খামার সম্প্রসারণ, ‘করাতকল কাজগুলো শেষ করার সুযোগ করে দেন। এরপর ধরে নতুন কাজ। সম্প্রতি দেখা গেছে, গাছবাড়ি এলাকায় খোরশেদ আলমের ছেলে তারা মিয়া বড় একটি গোডাউন, বান্দরমার্কেটের পশ্চিমপাশে নুরু হাজী, আব্দুল মজিদ, আমির হামজা তারা দোকান করেন। নয়াপাড়া এলাকায় হাশেম বনের জমিতে খামার, কড়ইতলী এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন বনের জমিতে মৎস্য খামার করছেন। শুধু এরাই নয়, ওই ক্যাম্পের বিভিন্ন এলাকায় বনের জমিতে এভাবেই গত এক বছরে প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও মৎস্য খামার গড়ে উঠেছে। এতে এতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ওই বিট কর্মকর্তা, ক্যাম্পের কর্মচারীসহ স্থানীয় কয়েকজন দালাল। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অসহায় সাধারণ মানুষ।
ওই ক্যাম্পের বিরুদ্ধে টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে রঘুনাথপুর বিট কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ মুঠোফোনে জানান, কতগুলো ঘর উঠছে এভাবে বলা যাবে না। আর মৎস্য খামারগুলোর ডিমার্কেশন না থাকলেও আমার সময়ে করা হয়নি। আপনি অফিসে আসেন, বসে কথা বলি।
এব্যাপারে কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম দুলন মুঠোফোনে জানান, এসব বিষয় আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন